কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সেরা এবং উন্নত। কানাডিয়ান ডিগ্রিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, যা আপনাকে শুধু বিশ্বমানের জ্ঞান অর্জনের সুযোগই দেয় না, বরং ভবিষ্যতের জন্য স্থায়ী ক্যারিয়ার গড়ারও দারুণ সুযোগ করে দেয়।
এছাড়াও, লেখাপড়া শেষে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার সহজ সুযোগ থাকার কারণে এটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে কানাডায় আসে, যেখানে আধুনিক শিক্ষা, উচ্চমানের জীবনযাত্রা, এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মেলে।
আজকের এই ভিডিওতে আমি আপনাদের দেখাবো:
- কীভাবে কানাডার সেরা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করবেন।
- কীভাবে কানাডার ডিমান্ডিং প্রোগ্রামগুলো নির্বাচন করবেন
- ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং ডকুমেন্টস।
- আবেদন ফি সম্পর্কে বিস্তারিত।
- কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালযয়ে আবেদন করার সঠিক পদ্ধতি।
- কতদিনের মধ্যে অফার লেটার পাওয়া যাবে এবং
- অফার লেটার পাওয়ার পর পরবর্তী ধাপগুলো কী কী।
তাই ভিডিওটি পুরোটা দেখুন, কারণ এটি হতে পারে আপনার কানাডার পড়াশোনার যাত্রার প্রথম ধাপ।
ধাপ : বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন
১: লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:
- আপনি কী পড়তে চান এবং ভবিষ্যতে কোন ক্যারিয়ার গড়তে চান।
- কানাডার জব মার্কেটে কোন সাবজেক্টগুলোর চাহিদা বেশি এবং PR পেতে সাহায্য করবে।
- নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৫টি নির্দিষ্ট ফিল্ডে পড়াশোনা করলে লেখাপড়া শেষে কাজের অনুমতি পাবেন, তা যাচাই করুন। ৫টি ফিল্ড হলোঃ Agriculture and Agri-Food, Health Care, Science, Technology, Engineering and Mathematics (STEM), Trade, Transport.
more info: বিস্তারিত জানতে কানাডার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন >>
২: বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং ও খ্যাতি যাচাই করুন:
আপনার পছন্দের বিষয় বা প্রোগ্রামের জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় সেরা, তা খুঁজে বের করুন।
উদাহরণস্বরূপ: গবেষণার জন্য University of Toronto, আর প্র্যাকটিক্যাল স্কিলের জন্য Humber College বেশ জনপ্রিয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং এবং খ্যাতি বোঝার জন্য QS World University Rankings বা Times Higher Education Rankings-এর মতো বিশ্বস্ত সাইট ব্যবহার করতে পারেন।
একটি ভালো র্যাঙ্কিং শুধু শিক্ষার মানই নয়, বরং ভবিষ্যতে চাকরির সুযোগেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. লোকেশন বিবেচনা করুন:
আপনার শিক্ষার জন্য শহরের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।
- বড় শহর (Toronto, Vancouver):
- বেশি কাজের সুযোগ এবং নেটওয়ার্ক তৈরি করার সম্ভাবনা।
- তবে জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলক বেশি।
- প্রচুর বাংলাদেশী কমিউনিটি রয়েছে, যা সামাজিক সমর্থন দিতে পারে।
- আবহাওয়া ভালো চাইলে Vancouver একটি জনপ্রিয় পছন্দ।
- ছোট শহর:
- জীবনযাত্রার খরচ কম।
- পড়াশোনার জন্য শান্ত পরিবেশ।
- অন্যান্য শহরেও বাংলাদেশীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে!
আপনার বাজেট, কাজের সুযোগ, এবং ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী শহর বেছে নিন।
৪. অ্যাডমিশন রিকোয়ারমেন্ট চেক করুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার আগে তাদের নির্ধারিত যোগ্যতাগুলো যাচাই করুন:
- একাডেমিক যোগ্যতা:
- আপনার SSC, HSC, বা Bachelor’s GPA নির্দিষ্ট মানের হতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রোগ্রাম অনুযায়ী GPA-এর ন্যূনতম প্রয়োজন ভিন্ন হতে পারে।
- ইংরেজি দক্ষতা:
- IELTS বা TOEFL পরীক্ষার স্কোর প্রয়োজন হয়।
- সাধারণত IELTS-এর জন্য ন্যূনতম স্কোর ৬.৫ দরকার হয় তবে কিছু কলেজ ডিপ্লোমাতে ৬.০ দিয়েও আবেদন করা যায়!
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট কোর্সের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং শর্তাবলী ভালোভাবে দেখে নিন। এই ধাপটি ভুল হলে আবেদন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যেতে পারে।
৫. বাজেট এবং টিউশন ফি যাচাই করুন:
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করার সময় আপনার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।
- টিউশন ফি যাচাই করুন:
- কানাডার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি প্রোগ্রাম এবং লোকেশন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
- গড়ে বার্ষিক টিউশন ফি CAD ১৭,০০০ থেকে CAD ৩০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে।
- অন্যান্য খরচ বিবেচনা করুন:
- থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, এবং স্বাস্থ্য বীমা।
- বড় শহরে খরচ তুলনামূলক বেশি হতে পারে।
- স্কলারশিপের সুযোগ খুঁজুন:
- অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ অফার করে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে স্কলারশিপ পেইজ দেখুন।
আপনার আর্থিক সামর্থ্যের সাথে মিলে যায় এমন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম বেছে নিন এবং প্রয়োজনে কয়েকটি ব্যাকআপ অপশন রাখুন। এই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কানাডার সেরা কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জবে ডিমান্ডিং প্রোগ্রামগুলি নির্বাচন করবেন।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার আগে তাদের নির্দিষ্ট যোগ্যতাগুলো যাচাই করুন। সাধারণত যা লাগবে:
- একাডেমিক যোগ্যতা: SSC, HSC, বা Bachelor’s GPA-এর নির্ধারিত মান।
- ইংরেজি দক্ষতা: সাধারণত IELTS-এর জন্য ন্যূনতম স্কোর ৬.৫ চায়, তবে কিছু কলেজ ডিপ্লোমাতে ৬.০ দিয়েও আবেদন করা যায়!
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: পাসপোর্ট, একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশিট (স্কেনকপি)।
- SOP (Statement of Purpose): এটি আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং কেন এই কোর্সটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরবে। ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন।
ধাপ ২ঃ যেভাবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন:
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা নির্ধারিত পোর্টালে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন। ফর্মের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, যেমন পাসপোর্ট, একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, IELTS/TOEFL স্কোর, এবং SOP আপলোড করতে হবে। ফর্ম জমা দেওয়ার সময় আবেদন ফি (CAD ৭৫-২০০) ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে হয়।
বিস্তারিত জানতে আমার এই ভিডিওটি দেখুন!
অফার লেটার পেতে কত সময় লাগে?
কানাডায় পড়াশোনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খরচ, সময়, ক্যারিয়ার সম্ভাবনা, ভিসার রেশিও এবং স্পাউস আনার সুযোগ বিবেচনা করা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং কিছু প্রোগ্রামে নতুন নিয়মে স্পাউস আনার সুযোগ রয়েছে। তবে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স করতে খরচ বেশি (৭০-৮০ হাজার ডলার) এবং সময়ও দীর্ঘ। অন্যদিকে, কলেজের ডিপ্লোমা কম খরচে (৩৫-৪০ হাজার ডলার) এবং কম সময়ে (১৬-২০ মাস) শেষ করা যায়, যা দ্রুত চাকরির অভিজ্ঞতা এবং PR প্রসেস শুরু করার সুযোগ দেয়, কিন্তু স্পাউস আনার সুবিধা নেই। তাই যাদের স্পাউস আনার পরিকল্পনা আছে, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সেরা বিকল্প।
কানাডায় কলেজ নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবেন?
কানাডায় পড়াশোনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খরচ, সময়, ক্যারিয়ার সম্ভাবনা, ভিসার রেশিও এবং স্পাউস আনার সুযোগ বিবেচনা করা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং কিছু প্রোগ্রামে নতুন নিয়মে স্পাউস আনার সুযোগ রয়েছে। তবে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স করতে খরচ বেশি (৭০-৮০ হাজার ডলার) এবং সময়ও দীর্ঘ। অন্যদিকে, কলেজের ডিপ্লোমা কম খরচে (৩৫-৪০ হাজার ডলার) এবং কম সময়ে (১৬-২০ মাস) শেষ করা যায়, যা দ্রুত চাকরির অভিজ্ঞতা এবং PR প্রসেস শুরু করার সুযোগ দেয়, কিন্তু স্পাউস আনার সুবিধা নেই। তাই যাদের স্পাউস আনার পরিকল্পনা আছে, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সেরা বিকল্প।
কানাডায় পড়াশোনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খরচ, সময়, ক্যারিয়ার সম্ভাবনা, ভিসার রেশিও এবং স্পাউস আনার সুযোগ বিবেচনা করা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং কিছু প্রোগ্রামে নতুন নিয়মে স্পাউস আনার সুযোগ রয়েছে। তবে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স করতে খরচ বেশি (৭০-৮০ হাজার ডলার) এবং সময়ও দীর্ঘ। অন্যদিকে, কলেজের ডিপ্লোমা কম খরচে (৩৫-৪০ হাজার ডলার) এবং কম সময়ে (১৬-২০ মাস) শেষ করা যায়, যা দ্রুত চাকরির অভিজ্ঞতা এবং PR প্রসেস শুরু করার সুযোগ দেয়, কিন্তু স্পাউস আনার সুবিধা নেই। তাই যাদের স্পাউস আনার পরিকল্পনা আছে, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সেরা বিকল্প।
কানাডায় পড়াশোনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খরচ, সময়, ক্যারিয়ার সম্ভাবনা, ভিসার রেশিও এবং স্পাউস আনার সুযোগ বিবেচনা করা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং কিছু প্রোগ্রামে নতুন নিয়মে স্পাউস আনার সুযোগ রয়েছে। তবে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স করতে খরচ বেশি (৭০-৮০ হাজার ডলার) এবং সময়ও দীর্ঘ। অন্যদিকে, কলেজের ডিপ্লোমা কম খরচে (৩৫-৪০ হাজার ডলার) এবং কম সময়ে (১৬-২০ মাস) শেষ করা যায়, যা দ্রুত চাকরির অভিজ্ঞতা এবং PR প্রসেস শুরু করার সুযোগ দেয়, কিন্তু স্পাউস আনার সুবিধা নেই। তাই যাদের স্পাউস আনার পরিকল্পনা আছে, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সেরা বিকল্প।
আবেদন করার পরে বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণত ২-৮ সপ্তাহের মধ্যে আপনার ফাইল প্রসেস করবে। যদি আপনার ডকুমেন্ট ঠিক থাকে, তারা আপনাকে অফার লেটার পাঠাবে ইমেইলে। অফার লেটার পাওয়ার পরে বেশিরভাগ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিউশন ফি পরিশোধ করতে হয়। তখন তারা ফাইনাল অফার লেটার দিবে, যা দেখিয়ে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। অফার লেটারে পেমেন্ট করার নিয়ম বলে দেয়া থাকবে!